নৌকার মনোনয়ন পাওয়া বড়ই সৌভাগ্যের। কারণ নৌকা সরকারে ক্ষমতাসীন। দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে নৌকার প্রার্থীদের বাড়ছে প্রচারণা। মাঠে, প্রকাশ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম নিজ নিজ কথামালায়।
দেশের সর্ব দক্ষিণের সমুদ্র নগরী পর্যটন জেলা, শহর, সদর রামু ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার ৩ আসন। এ আসনে মনোনয়ন পেতে কক্সবাজার-৩ সংসদীয় আসন (সদর, রামু, ঈদগাঁও) প্রার্থী হতে মাঠে তৎপর অনেকে। তারমধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল ফোরকান আহমদ (অব.), কক্সবাজার জেলা মডেল কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দীন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল হক মুকুল, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি নজিবুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।
কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসন। আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন একাধিক প্রার্থী তাদের নিজেদের যোগ্যতায় চাইতে পারেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত কি আসে চেয়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসন কক্সবাজার-৩ এর অনেক এলাকা সরেজমিন ঘুরে জানা এবং দেখা যায় এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে বেশ কয়েকজন পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট করেছেন। থেমে থেমে প্রচারণা, যুব সমাজ ও মুরুব্বিদের সাথে ছোটখাটো বৈঠক এবং চায়ের আড্ডা সরগরম নিয়মিত। জুমাবারে নামাজ আদায় করে কবর জেয়ারত করে নির্বাচনী আলাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীরা শুরু করেন তাদের নির্বাচনী আগাম কর্মতৎপরতা।
দেশ ও বিশ্ব দরবারে পরিচিত পর্যটন শহর এই কক্সবাজার-৩ আসনে এবার নৌকার ভাগ্য কার, বর্তমান সংসদ সদস্যের না নতুন কোন প্রার্থীর বিষয়টি এখন থেকে তুমুল আলোচনায়?
অনেককে বলতে শুনা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য কি প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন! এই আসনটি নিয়ে নেত্রী কি অন্য কাউকে ভাবছেন? সবমিলিয়ে অপেক্ষা এবং নেত্রীর নির্দেশনার দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই। এনিয়ে আরো রিপোর্ট হবে জাতীয় সংবাদ পত্র দৈনিক আমার সময়ে। দেখতে চোখ রাখুন।
Leave a Reply