সারাদেশে দলের অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব অপপ্রচার রোধে এক লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের সমন্বয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরীর অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত উপজেলাসমূহের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনলাইনে সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজার জেলাব্যাপী ৭৮২ জন অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করেন। বর্ষণমূখর সকালে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে দূর দূরান্ত থেকে আগত ৫৫০ জন দলের সক্রিয় নেতাকর্মী উৎসাহ উদ্দীপনায় এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে করে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওযামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। স্ব^াগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
বিকাল চারটায় দ্বিতীয় সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা কোন ব্যক্তিকে হত্যা নয়, তাকে হত্যা মানেই একটি বাংলাদেশকে হত্যা। তাকে হত্যা করা মানেই বাংলাদেশ মুল চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নষ্ট করতে জাতির পিতাকে হত্যা। যে হত্যাকান্ডটির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতি কলংকিত করতে অস্ত্র, কলো টাকা, মাদকের অভয়ারণ্য করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত চিহ্নিত মানুষকে একে একে দেশে ফেরত এনে প্রতিষ্ঠা শুরু করেছিলেন এই মেজর জিয়া।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, বিএনপিকে কোনভাবেই রাজনৈতিক সংগঠণ মনে হয় না। একটি সংগঠনের জন্য একটি গঠণতন্ত্র থাকবে। যে গঠণতন্ত্রটি দেশের আইন ও সংবিধান মেনেই তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের কোন ক্লাব বা সামাজিক সংগঠনের দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধিরা নেতৃত্ব দিতে পারেন না। অথচ বিএনপি তার উল্টো। যার দুই জন শীর্ষ নেতাই দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধি। যে দলের শীর্ষ ২ নেতা দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধি সেইটি রাজনৈতিক দল হতে পারেনা।
শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী চক্র নানা অপপ্রচার ও গুজব রটিয়ে যাচ্ছে। তা মোকাবেলায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এই কর্মশালার মধ্যে দিয়ে আগামি নির্বাচনের প্রচারণা, জনগনের মাঝে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর কাজ করা হবে।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, দেশের সকল জেলা ও উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ হবে। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ভোট নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের অংশ।
এরপর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন দেশের বিভিন্ন জেলার পর এবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধা ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ৩৩ তম স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার। এ স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধনের মাধ্যমে কক্সবাজারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করেন তিনি। ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ওয়ান সফলভাবে বাস্তবায়নের পর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সারা দেশে স্মার্ট কর্ণার স্থাপনের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে আত্বনির্ভরশীল, স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্টে পরিণত করতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এ প্রয়াস। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের আর ও উন্নত রুপরেখা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার হবে আধুনিক অনলাইন প্রযুক্তি। সব ভোটারের কাছে সরকারের উন্নয়ন বার্তা পৌছে দেয়ার লক্ষে দেশের সব জেলা কার্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে স্মার্ট কর্ণার।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, মহিলা সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমাসহ দলের নেতাকর্মীরা।
স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের অনলাইন ক্যাম্পেনকে প্রাধান্য দিয়ে এ স্মার্ট কর্ণারের কাযক্রম পরিচালনা করা হবে। সারাদেশে জেলা উপজেলাগুলোতেও স্মার্ট কর্ণারস্থাপনের লক্ষমাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে।
তিনি বলেন ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় এ স্মার্ট কর্ণারের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ ও পারদর্শি হয়ে উঠবেন সব শ্রেণী পেশার মানুষ। নেতাকর্মীদের ডাটাবেইজ তৈরির পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে তারা যে কোন তথ্য অবগতসহ উন্নত বিশ্বের সবধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এই স্মার্ট কর্ণারের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সাধারন জনগনের সঙ্গে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন। পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান
Leave a Reply